Thursday |
বিজ্ঞানীরা খুবই ক্ষুদ্র আকারের একটি একটি রোবট বা মাইক্রো রোবটের নকশা তৈরি করেছেন। আকারে কীটপতঙ্গের মতো ক্ষুদ্র। মৌমাছির মতো।
কয়েক মিনিটের জন্যে উড়তেও পারে এই রোবট। এর নাম রোবো বী। । উড়ে গিয়ে উঁচু কোনো জায়গায় বসতেও পারে। বসতে পারার সুবিধা হলো এর ফলে রোবটটি তার শক্তি খরচ না করে সেই জ্বালানী জমা করে রাখতে পারবে।
যুক্তরাষ্ট্রে, হার্ভার্ড মাইক্রোবায়োটিক্স ল্যাবরেটরিতে বিজ্ঞানীরা দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে গবেষণার পর এটি তৈরি করেছেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, রোবো বীকে পরিবেশ দূষণের
মতো পরীক্ষায় ব্যবহার করা যেতে পারে। এমনকি কোনো জায়গায় বিপর্যয় ঘটলে, যেমন ভূমিকম্প বা কোথাও কোনো ভবন ধসে পড়লে, সেখানে দুর্গত বা আটকে পড়া লোকজনকে খুঁজে বের করতে পারবে রোবো বী।
এই আবিষ্কারটি নিয়ে শুনুন কম্পিউটার বিজ্ঞানী এবং যুক্তরাজ্যে মিডলসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির শিক্ষক ড. শাহেদুর রহমানের সাক্ষাৎকার ।
কোষের ইতিহাস
বিবর্তনের প্রক্রিয়াকে আমরা কি বলতে পারি- প্রকৌশলী, কেমিস্ট, ডিজাইনার? নাকি সবকটাই?
এই প্রক্রিয়া থেকে বিজ্ঞানীরা জিন এবং ডিএনএ কিভাবে কাজ করে সেবিষয়ে অনেক কিছুই জানতে পেরেছেন। বিশেষ করে গত ৬০ বছরে। জানতে পেরেছেন জীবনের বিকাশে এই দুটো জিনিস কিভাবে দিক নির্দেশক হিসেবে কাজ করে থাকে।
মানুষের শরীরে আছে হাজার হাজার কোটি কোষ। আর এই কোষের ভেতরেই থাকে ডিএনএ। এসব ডিএনএ ঠিক মতো কাজ করাটাও আমাদের সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনের জন্যে খুবই জরুরী।
মনে রাখতে হবে এই যে হাজার হাজার কোটি কোষ তার শুরুটা কিন্তু হয়েছিলো ছোট্ট একটি ডিম্বাণু থেকে। কিন্তু ছোট্ট এই ডিম্বাণু থেকে কিভাবে হাজার হাজার কোটি কোষের জন্ম হলো এবং তার ভেতরে কিভাবে সৃষ্টি হলো বিভিন্ন চরিত্রের?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এসব সেল কিভাবে বিবর্তিত হয়েছে এবং একটা ভেঙে আরেকটা তৈরি হয়ে হাজার হাজার কোটি কোষের দেহে পরিণত হয়েছে তার সবই জানা সম্ভব।
প্রজন্মের হিসাব রাখার একটা উপায় আছে। যেমন ধরুন – আমি হয়তো বলতে পারি যে আমি আমার পিতার তৃতীয় সন্তান। আমার পিতা ছিলেন আমার দাদার সবচে বড় সন্তান। আর আমার দাদা ছিলেন তার পিতার চার নম্বর সন্তান। কিন্তু মানব দেহের যেসব কোষ সেগুলোর কোনটা কোন কোষ থেকে এসেছে সেই ইতিহাস কিভাবে সংরক্ষণ করা হয়?
জেব্রাফিশের কোষের ইতিহাস জানতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা দেখেছেন, জীবনের একেবারে শুরু থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত এই মাছের কোষ কিভাবে বিকশিত হয়।
এর মাধ্যমে প্রতিটি কোষকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যায়। জানা যায় কোষ ভেঙে ভেঙে কিভাবে বহু কোষের সৃষ্টি হয়েছে এবং পরে প্রাপ্তবয়স্ক একটি মাছের দেহকোষে পরিণত হয়েছে।