Thursday |
☆☆☆☆☆ময়মনসিংহ জিলা স্কুল☆☆☆☆☆☆
ময়মনসিংহ জিলা স্কুল
ঠিকানা:জিলা স্কুল রোড,ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ, ঢাকা,বাংলাদেশ,+880
তথ্য:-
ধরন :-সরকারী মাধ্যমিক স্কুল
প্রতিষ্ঠাকাল :-১৮৫৩
শ্রেণী :-৩–১০
লিঙ্গ:-বালক
বয়সসীমা:- ১০-১৬
ভাষার মাধ্যম:- বাংলা
বোর্ড:- ঢাকা শিক্ষা বোর্ড
ওয়েবসাইট :-http://www.mzs.edu.bd
ময়মনসিংহ জিলা স্কুল ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি ভাগে তৎকালীন ভারতের সর্ববৃহৎ জেলা ময়মনসিংহে প্রতিষ্ঠিত একটি প্রসিদ্ধ হাই স্কুল। এটি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম। কেবল ছেলেদের জন্য প্রতিষ্ঠিত এ স্কুলের অবস্থান ময়মনসিংহ শহরের কেন্দ্রস্থলে ; সংলগ্ন সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ জিলা স্কুল রোড নামে পরিচিত। এই সরকারি স্কুলটিতে ৩য় থেকে ১০ম ম্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা প্রদান করা হয়। এন্ট্রেন্স তথা ম্যাট্রিক এবং বর্তমানের সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট বা এস এস সি পরীক্ষায় এ স্কুলের ছাত্ররা যথাক্রমে পূর্ববঙ্গ, পূর্ব পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়ে এসেছে। পূর্ব এবং পশ্চিম বাংলার বহু গুণী ব্যক্তিত্ব এ স্কুলে বাল্যকাল অতিবাহিত করেছেন।
☆☆☆☆☆☆☆ইতিহাস☆☆☆☆☆☆
ময়মনসিংহ জিলা স্কুল বাংলাদেশের প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম যা ৩ নভেম্বর, ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে স্থাপিত হয়। ময়মনসিংহ জিলা স্কুল একটি ঐতিহ্যবাহী এবং গৌরবমন্ডিত বিদ্যাপীঠের নাম। এর রয়েছে দেড়শত বছরেরও অধিক সময়ের স্মরণীয় ও সুদীর্ঘ এক ইতিহাস। ১৭৮৭ খ্রীষ্টাব্দে ‘নাসিরাবাদ’ নামে ময়মনসিংহ জেলার গোড়া পত্তন ঘটে ব্রহ্মপুত্রের তীরবর্তী বেগুনবাড়ীতে। ১৭৯১ খ্রীষ্টাব্দে ব্রহ্মপুত্রের করাল গ্রাসে বেগুনবাড়ি লুপ্ত হওয়ায় জেলা হেডকোয়ার্টার স্থানান্তরিত হয় সেহড়া গ্রামে। ১৮১১ খ্রীষ্টাব্দে এটি শহরের মর্যাদা লাভের পর এখানে উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। ১৮১৩ খ্রীষ্টাব্দের শিক্ষা সনদ, ১৮২৩ খ্রীষ্টাব্দের সাধারণ শিক্ষা কমিশন, ১৮৩৫ খ্রীষ্টাব্দের অ্যাডাম কমিশন রিপোর্ট এবং ১৮৪৩ খ্রীষ্টাব্দের লর্ড মেকলের ‘নিম্নগামী পরিস্রবন নীতি’র সুপারিশ ধরেই ১৮৪৬ খ্রীষ্টাব্দে তদানীন্তন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী কর্তৃক নিযুক্ত কালেক্টর মিঃ এফ. বি. ক্যাম্প এর ভবন ও কাঁচারী সংলগ্ন স্থানে পুকুরের উত্তরে একটি লাল এক তলা দালানে ‘হার্ডিঞ্জ স্কুল’ নামে একটি ‘মিডল ইংলিশ স্কুল’ স্থাপন করা হয়। এখানে শুধু উচ্চবিত্তদের সন্তানরা পড়ার সুযোগ পেত। এই স্কুলটি হার্ডিঞ্জ স্কুল (১৮৪৬ থেকে ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত) নামেও পরিচিত ছিল। বর্তমানে এখানে ৩য় থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে প্রথম প্রধান শিক্ষকের আসন অলংকৃত করেন বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার জগদীশচন্দ্র বসুর পিতা শ্রী ভগবানচন্দ্র বসু। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের প্রথম মুসলমান প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জনাব মোঃ আব্দুস সামাদ।[২] পরবর্তীকালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন শিক্ষা বোর্ডের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছিলেন।
১৮৫৭ সালে রাণী ভিক্টোরিয়ার মাধ্যমে সরাসরি ইংল্যান্ড থেকে বৃটিশ শাসন প্রতিষ্ঠার পর ১৮৬৯ খ্রীষ্টাব্দে ময়মনসিংহ শহর ‘পৌরসভা’ হিসেবে স্বীকৃতি পেলে স্কুলের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য এবং ১৮৮২ খ্রীষ্টাব্দে হান্টার কমিশনের সুপারিশ অনুসারে শ্রেণীকক্ষ আরো উন্নত করার লক্ষ্যে ১৮৮৫ খ্রীষ্টাব্দে পাকা ভিটওয়ালা বর্তমান ‘ময়মনসিংহ ল্যাবরেটরী স্কুল’ (বেসরকারী ল্যাবরেটরী স্কুল) ভবনে একে স্থানান্তর করা হয়। ১৮৮৭ খ্রীষ্টাব্দে জেলার প্রথম বাঙালী কালেক্টর রমেশ চন্দ্র দত্তের সময়ে জেলা বোর্ড গঠনের ফলে এবং ১৯০১ খ্রীষ্টাব্দে লর্ড কার্জনের সময়ে ‘‘শিমলা কনফারেন্স’’ এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়নের উপর গুরম্নত্ব আরোপের ফলে ১৯১২ খ্রীষ্টাব্দে বর্তমান স্থানে জমি অধিগ্রহণ করে স্কুল ও হোষ্টেল ভবন নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়। ১৯১৩ খ্রীষ্টাব্দে ৩০০ আসন বিশিষ্ট জিলা স্কুল এই নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হয়। জিলা স্কুলের মূল ভবন এই লাল দালানটি প্রথমে এমনটি ছিল না । বারান্দায় ইটের ভিটার উপর টিনের চালা ছিল। পরবর্তী ১৯১৭ খ্রীষ্টাব্দে স্যাডলার কমিশন ও ১৯৪৪ খ্রীষ্টাব্দে সার্জেন্ট পরিকল্পনা অনুসারে এর মানোন্নয়নে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে বৃটিশ বাহিনীর ক্যাম্প স্থাপনের কারণে স্কুলটিতে সাময়িকভাবে স্কুল গেটের উল্টোদিকে অবস্থিত ‘দারম্নল হাছানা’ ভবনে স্থানামত্মর করা হয়।
১৯৪৭ খ্রীষ্টাব্দে দেশ বিভাগের পর ১৯৫২ খ্রীষ্টাব্দের আকরাম খাঁ শিক্ষা কমিশন’ এবং ১৯৫৭ খ্রীষ্টাব্দের আতাউর রহমান খান শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টের আলোকে ময়মনসিংহের প্রথম ডেপুটি কমিশনার এস. এম . এ. কাজমীর সময়ে ১৯৬১ খ্রীষ্টাব্দে ময়মনসিংহ জিলা স্কুলকে, ‘‘মাল্টিলেটারাল পাইলট স্কুল’’ এর মর্যাদা দেওয়া হয়। ১৯৬২ খ্রীষ্টাব্দে মানবিক ও বিজ্ঞান শাখার পাশাপাশি কারিগরি শাখা খোলা হয়। পাইলট স্কীমের আওতায় এবছর প্রচুর আসবাবপত্র প্রস্ত্তত হয়। ১৯৬৪ খ্রীষ্টাব্দে স্কুলে বাণিজ্য শাখা খোলা হয়। ১৯৬৫ খ্রীষ্টাব্দে নতুন করে সংস্কার কাজ শুরম্ন হয়। মিঃ ড্রিল নামের একজন আমেরিকান বিজ্ঞান শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে ইট বিছানো মেঝে , টিনের চালওয়ালা বারান্দা, প্রতিটি শ্রেণী কক্ষের ভেতর চারটি করে মোটা পিলার, স্কুলের উত্তর দিকে টিনের ঘের দেওয়া সার্ভিস ল্যাট্রিন অপসারণসহ সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেন।
১৯৫৬-৫৭ খ্রীষ্টাব্দের দিকে জিলা স্কুল হোষ্টেলের টিনশেড অংশে টি. টি. কলেজ ময়মনসিংহ এর শ্রেণী কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৫৮ খ্রীঃ থেকে ১৯৬৪ খ্রীঃ পর্যমত্ম জিলা স্কুল হোষ্টেলে ই.পি.আর ট্রেনিং ক্যাম্প স্থাপন করায় হোষ্টেলটি সাময়িক ভাবে গুলকীবাড়ী রায়মনি লজে স্থানান্তরিত করা হয় এবং হোষ্টেলটি ‘‘আঞ্জুমান মুসলিম হোষ্টেল’’ নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৬৪ খ্রীঃ ৪ আগষ্ট ই.পি.আর. হোষ্টেলটি স্থানান্তর করা হয়।
☆☆☆☆☆☆প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা☆☆☆☆☆☆
১৯৯০ খ্রিস্টাব্দ থেকে স্কুলে দুটি অধিবেশনে শিক্ষাদান কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। এগুলো হলো প্রভাতী অধিবেশন এবং দিবাকালীন অধিবেশন। সকাল ৭.৩০ থেকে প্রভাতী অধিবেশন এবং দুপুর ১২.০০ থেকে দিবা অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু হয়। এটি বালক বিদ্যালয় হলেও ১৯৯০-এর দশক থেকে এখানে পুরুষের পাশাপাশি মহিলারাও শিক্ষকতা করেন। প্রতি বছর এই বিদ্যালয়ে তৃতীয় এবং ষষ্ঠ শ্রেণীতে ছাত্র ভর্তি করা হয়। আবার ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত প্রতি শ্রেণীতে দুটি করে শাখা রয়েছে যথা 'ক' শাখা এবং 'খ' শাখা। অভিজ্ঞ এবং দক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে উচ্চমানের শিক্ষা প্রদানকারী প্রাচীন বিদ্যালয়গুলির মধ্যে এটি একটি। পাশাপাশি, সরকারী বিদ্যালয় হওয়ায় লেখাপড়ার খরচও এখানে নিতান্ত কম।
ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পাদনা:-
এই সরকারি হাই স্কুলটিতে ৩য় থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা প্রদান করা হয়। সাধারণত ৩য় ও ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ছাত্র ভর্তি করা হয়। আসন খালি থাকা সাপেক্ষে কোন কোন বছর অন্যান্য শ্রেণীতেও ভর্তি করা হয়। ভর্তি পরীক্ষা দিতে কোন আলাদা যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না এবং যেসব ছাত্র ভর্তি পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করে তারাই ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায়।
বেতন সম্পাদনা:-
সরকারী স্কুল হওয়ায় এই বিদ্যালয়ে বেসরকারী স্কুলের তুলনায় খরচ অনেক কম। প্রতি মাসে বেতনের সাথে টিফিন ফি নেয়া হয়। ছাত্রাবাসের ছাত্রদের বেতনের সাথে ছাত্রাবাসের ভাড়াও দিতে হয়।
☆☆☆☆☆☆☆☆ইউনিফর্ম ড্রেস☆☆☆☆☆☆☆
১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে স্কুলের ছাত্রদের জন্য সর্বপ্রথম ইউনিফর্ম ড্রেস এবং আইডেনটিটি কার্ড প্রবর্তন করা হয়। বর্তমান ইউনিফর্ম ড্রেস নিম্নরূপ:
▪ফুল হাতা সাদা শার্ট
▪খাকী রঙের ফুল প্যান্ট
▪সাদা মোজা ও জুতা(কেড্স বা পাম্প শু)
▪নেভী ব্ল সোয়েটার(শীতকালে)
▪নীল রঙের নেমপ্লেট(প্রভাতী শাখা) ও লাল ▪রঙের নেমপ্লেট(দিবা শাখা)
▪বাম পকেটের ওপর স্কুলের মনোগ্রাম
☆☆☆☆☆☆☆শিক্ষা সুবিধাসমূহ☆☆☆☆☆☆
এই বিদ্যালয়ে একটি উঁচুমানের বিজ্ঞানাগার, একটি সুপরিসর লাইব্রেরী, একটি কম্পিউটার ল্যাবরেটরি, একটি ব্যায়ামাগার ও কর্মশালা রয়েছে। পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও জীববিদ্যার প্রায়োগিক পাঠসমূহ সাধারণত বিজ্ঞানাগারে পড়ানো হয়। বিদ্যালয়ে একটি ঘাট বাঁধানো পুকুর রয়েছে যাতে প্রতি বছর সাঁতার প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বিদ্যালয়ের মূল ভবনে বড় একটি হলঘর আছে যেখানে সভা-সমিতি এবং প্রতি বছর ইনডোর গেম্সের আয়োজন হয়। এছাড়া দূরবর্তী ছাত্রদের অধ্যয়নের সুবিধার্থে বিদ্যালয়ের অদূরে একটি ছাত্রাবাস রয়েছে। বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস মাঠে প্রতিবছর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এছাড়া বিদ্যালয়ে জাতীয় কিছু সংস্থার শাখা চালু রয়েছে। যথাঃ-
》বি.এন.সি.সি.
》স্কাউট
》রেড ক্রিসেন্ট
☆☆☆☆☆☆☆কৃতি প্রাক্তন ছাত্র☆☆☆☆☆☆
》উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী - প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক;
》স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু - প্রখ্যাত বিজ্ঞানী;
》আনন্দমোহন বসু - ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক প্রেসিডেন্ট;
》সৈয়দ নজরুল ইসলাম - বাংলাদেশের ১ম উপরাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি;
》আবু সাঈদ চৌধুরী - বাংলাদেশের ২য় রাষ্ট্রপতি;
》আবুল কাসেম ফজলুল হক - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও রাষ্ট্রচিন্তক
》জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা (১০ জুলাই, ১৯২০ - ২৭ মার্চ, ১৯৭১) [৩]
☆☆☆☆☆☆☆☆☆☆ফলাফল☆☆☆☆☆☆☆☆
২০০৯ সাল থেকে 2016 সাল পর্যন্ত স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল নিম্নরূপ:
শিক্ষাবর্ষ ছাত্রসংখ্যা উত্তীর্ণ ছাত্র পাসের শতকরা হার জি.পি.এ-৫ প্রাপ্ত ছাত্রের সংখ্যা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে অবস্থান:-
২০০৯ ২৫১ ২৪৩ ৯৬.৮১% ১৪৪
২০১০ ২৬৮ ২৫৯ ৯৯.২৩% ১৭৯ ১৯তম
২০১১ ২১৮ ২১৮ ১০০% ১৬২ ১৮ তম
২০১২ ২৬৫ ২৬৫ ১০০% ২২৩ ১০ম
২০১৩ ২৭৫ ২৭৫ ১০০% ২১৯ ৭ম
২০১৪ ২৭০ ২৬৯ ৯৯.৯৩% ২৪৪ ১৩তম
২০১৫ ২৭৫ ২৭৩ ৯৯.২৭% ২৪৫
2016 277 277 100% 223
source:wikipidia.
Posted by Sourov