The Soda Pop
■ময়মনসিংহ জিলা স্কুল,■ শিফট:প্রভাতি,■ ব্যাচ:-২০১৬ পেজ এ স্বাগতম।■ ঐতিহ্যের ১৬৩ বছর।■
mzs2016.mobie.in
Thursday
💜💙Miss You So Much MZS💛💚●Latest Update《new)●
Tags: EDUCATION

》》জেনে নিন ছোলার অসাধারণ গুণাগুণের কথা

ছোলা সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার যা লিগিউম পরিবারের অন্তর্গত। ছোলাকে গারব্যাঞ্জো বিন ও বলা হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ ছোলা ৭০০০ বছর পূর্বে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম উৎপন্ন হয়। ছোলাকে সবজি হিসেবে ও প্রোটিন জাতীয় খাবার হিসেবে গণ্য করা হয়। রমজান মাস এলে আমাদের দেশে ছোলার ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। ইফতারিতে মুড়ি ও পেঁয়াজু দিয়ে ছোলা মাখিয়ে খাওয়া হয়। ছোলা বা বুটের স্বাস্থ্য উপকারিতার কথাই জেনে নিব আজ।
১। ফাইবারের পাওয়ার হাউজ
ছোলাতে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার, ফোলেট ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায় যে, দ্রবণীয় ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে করোনারি হার্ট ডিজিজের মাত্রা কমায়। ফোলেট হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধিকারী হোমোসিস্টেইনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে ম্যাগনেসিয়াম ধমনী গুলোকে রিলেক্স হতে সাহায্য করে। ছোলাতে বিটা সাইটোস্টেরল এবং স্যাপোনিন থাকে যা প্লাজমা কোলেস্টেরল লেভেল কমাতে পারে।
২। জিংক ও কপারের প্রাকৃতিক উৎস
জিংক ও কপার এমন দুটি খনিজ উপাদান যা ইমিউন কোষের কাজ ও উন্নয়নের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। এক কাপ রান্না করা ছোলা কপারের দৈনিক চাহিদার ৩০% ও জিংকের দৈনিক চাহিদার ১৭% পূরণে সক্ষম।
৩। ওজন কমায়
ফাইবার ও প্রোটিনে ভরপুর ছোলা তৃপ্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ছোলাতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে। শরীরের ইনসুলিন পাম্পকে বাঁধা দেয় ছোলার ফাইবার ও প্রোটিন। ব্লাড সুগার লেভেল বৃদ্ধি পেলে ইনসুলিন নিঃসৃত হয়। ইনসুলিন এক ধরণের ফ্যাট স্টোরিং হরমোন যা স্থূলতা সৃষ্টি করতে পারে।
৪। পরিপাক তন্ত্রের জন্য উপকারি
অন্ত্রে গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ছোলা খেলে। বেশি পরিমাণে ছোলা খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই হচ্ছে এটি। তারপরও গ্যাস্ট্রো ইন্টেস্টাইনাল সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য উপকারি হতে পারে ছোলা খাওয়া। ২০১২ সালে ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশনে প্রকাশিত রিভিউ প্রতিবেদনে জানা যায় যে, খাদ্য তালিকায় ছোলার উপস্থিতি অন্ত্রের সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। ছোলা পরিপাকতন্ত্রের ভেতর দিয়ে বর্জ্য পদার্থ বাহির হয়ে যেতে সাহায্য করে যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ হয়।
৫। আয়রনের চমৎকার উৎস
আয়রনের ঘাটতি সারা বিশ্বে সাধারণ একটি পুষ্টি সমস্যা। যা অ্যানেমিয়ার প্রধান কারণ। অ্যানেমিয়া হলে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, অবসাদ দেখা দেয়।
রান্না এক কাপ ছোলাতে ৪.৭ মিলিগ্রাম ডায়াটারি আয়রন থাকে যা আয়রনের দৈনিক চাহিদার ২৬% পূরণ করতে সক্ষম।
৬। ক্যান্সার রোধী
কয়েক ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে ছোলা। যখন অন্ত্রের উপকারি ব্যাকটেরিয়া ছোলার ফাইবারকে সক্রিয় করে তুলে তখন বুটাইরেট নামক মেটাবলিক উপাদান উৎপন্ন হয়। এই ছোট প্রক্রিয়াটির মধ্যদিয়ে পলিফারেশনকে দমন করে এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষকে নিজে নিজেই ধ্বংস হয়ে যেতে সাহায্য করে। ছোলার প্রধান ফাইটোস্টেরল বিটা সাইটোস্টেরল কোলন টিউমারের হার কমায়।
তাছাড়া ত্বকের জন্যও উপকারি ছোলার বেসন। চুলের খুশকি দূর করতে এবং চুলকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে ছোলা। ছোলাতে স্যাপোনিন থাকে যা ব্রেস্ট ক্যান্সার ও অষ্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে চমৎকার কাজ করে।

Back to posts
Comments:

Post a comment

কলেজ এডমিশন Result..... 😀☺》》Copa America Live Match here......
1.
⚽Live Update📺
💚💛💜 MZS 2016 💚💛💜
📷 আজকের ছবি 📷
Section A&B 》》Copa America Live Match Here...
●●●সর্বশেষ খবর●●●
Tags: EDUCATION

》》জেনে নিন ছোলার অসাধারণ গুণাগুণের কথা

ছোলা সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার যা লিগিউম পরিবারের অন্তর্গত। ছোলাকে গারব্যাঞ্জো বিন ও বলা হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ ছোলা ৭০০০ বছর পূর্বে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম উৎপন্ন হয়। ছোলাকে সবজি হিসেবে ও প্রোটিন জাতীয় খাবার হিসেবে গণ্য করা হয়। রমজান মাস এলে আমাদের দেশে ছোলার ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। ইফতারিতে মুড়ি ও পেঁয়াজু দিয়ে ছোলা মাখিয়ে খাওয়া হয়। ছোলা বা বুটের স্বাস্থ্য উপকারিতার কথাই জেনে নিব আজ।
১। ফাইবারের পাওয়ার হাউজ
ছোলাতে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার, ফোলেট ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায় যে, দ্রবণীয় ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে করোনারি হার্ট ডিজিজের মাত্রা কমায়। ফোলেট হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধিকারী হোমোসিস্টেইনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে ম্যাগনেসিয়াম ধমনী গুলোকে রিলেক্স হতে সাহায্য করে। ছোলাতে বিটা সাইটোস্টেরল এবং স্যাপোনিন থাকে যা প্লাজমা কোলেস্টেরল লেভেল কমাতে পারে।
২। জিংক ও কপারের প্রাকৃতিক উৎস
জিংক ও কপার এমন দুটি খনিজ উপাদান যা ইমিউন কোষের কাজ ও উন্নয়নের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। এক কাপ রান্না করা ছোলা কপারের দৈনিক চাহিদার ৩০% ও জিংকের দৈনিক চাহিদার ১৭% পূরণে সক্ষম।
৩। ওজন কমায়
ফাইবার ও প্রোটিনে ভরপুর ছোলা তৃপ্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ছোলাতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে। শরীরের ইনসুলিন পাম্পকে বাঁধা দেয় ছোলার ফাইবার ও প্রোটিন। ব্লাড সুগার লেভেল বৃদ্ধি পেলে ইনসুলিন নিঃসৃত হয়। ইনসুলিন এক ধরণের ফ্যাট স্টোরিং হরমোন যা স্থূলতা সৃষ্টি করতে পারে।
৪। পরিপাক তন্ত্রের জন্য উপকারি
অন্ত্রে গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ছোলা খেলে। বেশি পরিমাণে ছোলা খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই হচ্ছে এটি। তারপরও গ্যাস্ট্রো ইন্টেস্টাইনাল সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য উপকারি হতে পারে ছোলা খাওয়া। ২০১২ সালে ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশনে প্রকাশিত রিভিউ প্রতিবেদনে জানা যায় যে, খাদ্য তালিকায় ছোলার উপস্থিতি অন্ত্রের সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। ছোলা পরিপাকতন্ত্রের ভেতর দিয়ে বর্জ্য পদার্থ বাহির হয়ে যেতে সাহায্য করে যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ হয়।
৫। আয়রনের চমৎকার উৎস
আয়রনের ঘাটতি সারা বিশ্বে সাধারণ একটি পুষ্টি সমস্যা। যা অ্যানেমিয়ার প্রধান কারণ। অ্যানেমিয়া হলে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, অবসাদ দেখা দেয়।
রান্না এক কাপ ছোলাতে ৪.৭ মিলিগ্রাম ডায়াটারি আয়রন থাকে যা আয়রনের দৈনিক চাহিদার ২৬% পূরণ করতে সক্ষম।
৬। ক্যান্সার রোধী
কয়েক ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে ছোলা। যখন অন্ত্রের উপকারি ব্যাকটেরিয়া ছোলার ফাইবারকে সক্রিয় করে তুলে তখন বুটাইরেট নামক মেটাবলিক উপাদান উৎপন্ন হয়। এই ছোট প্রক্রিয়াটির মধ্যদিয়ে পলিফারেশনকে দমন করে এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষকে নিজে নিজেই ধ্বংস হয়ে যেতে সাহায্য করে। ছোলার প্রধান ফাইটোস্টেরল বিটা সাইটোস্টেরল কোলন টিউমারের হার কমায়।
তাছাড়া ত্বকের জন্যও উপকারি ছোলার বেসন। চুলের খুশকি দূর করতে এবং চুলকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে ছোলা। ছোলাতে স্যাপোনিন থাকে যা ব্রেস্ট ক্যান্সার ও অষ্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে চমৎকার কাজ করে।

Back to posts
Comments:

Post a comment

আমাদের সাদি সোনার Facebook ID গতকাল রাত এ HACK হইচে।তাই সবাই নতুন ID তে request পাঠা।সাদির ID Link এখনে........click here
🎡Upcomming Events👑>
Tags: EDUCATION

》》জেনে নিন ছোলার অসাধারণ গুণাগুণের কথা

ছোলা সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার যা লিগিউম পরিবারের অন্তর্গত। ছোলাকে গারব্যাঞ্জো বিন ও বলা হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ ছোলা ৭০০০ বছর পূর্বে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম উৎপন্ন হয়। ছোলাকে সবজি হিসেবে ও প্রোটিন জাতীয় খাবার হিসেবে গণ্য করা হয়। রমজান মাস এলে আমাদের দেশে ছোলার ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। ইফতারিতে মুড়ি ও পেঁয়াজু দিয়ে ছোলা মাখিয়ে খাওয়া হয়। ছোলা বা বুটের স্বাস্থ্য উপকারিতার কথাই জেনে নিব আজ।
১। ফাইবারের পাওয়ার হাউজ
ছোলাতে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার, ফোলেট ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায় যে, দ্রবণীয় ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে করোনারি হার্ট ডিজিজের মাত্রা কমায়। ফোলেট হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধিকারী হোমোসিস্টেইনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে ম্যাগনেসিয়াম ধমনী গুলোকে রিলেক্স হতে সাহায্য করে। ছোলাতে বিটা সাইটোস্টেরল এবং স্যাপোনিন থাকে যা প্লাজমা কোলেস্টেরল লেভেল কমাতে পারে।
২। জিংক ও কপারের প্রাকৃতিক উৎস
জিংক ও কপার এমন দুটি খনিজ উপাদান যা ইমিউন কোষের কাজ ও উন্নয়নের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। এক কাপ রান্না করা ছোলা কপারের দৈনিক চাহিদার ৩০% ও জিংকের দৈনিক চাহিদার ১৭% পূরণে সক্ষম।
৩। ওজন কমায়
ফাইবার ও প্রোটিনে ভরপুর ছোলা তৃপ্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ছোলাতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে। শরীরের ইনসুলিন পাম্পকে বাঁধা দেয় ছোলার ফাইবার ও প্রোটিন। ব্লাড সুগার লেভেল বৃদ্ধি পেলে ইনসুলিন নিঃসৃত হয়। ইনসুলিন এক ধরণের ফ্যাট স্টোরিং হরমোন যা স্থূলতা সৃষ্টি করতে পারে।
৪। পরিপাক তন্ত্রের জন্য উপকারি
অন্ত্রে গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ছোলা খেলে। বেশি পরিমাণে ছোলা খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই হচ্ছে এটি। তারপরও গ্যাস্ট্রো ইন্টেস্টাইনাল সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য উপকারি হতে পারে ছোলা খাওয়া। ২০১২ সালে ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশনে প্রকাশিত রিভিউ প্রতিবেদনে জানা যায় যে, খাদ্য তালিকায় ছোলার উপস্থিতি অন্ত্রের সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। ছোলা পরিপাকতন্ত্রের ভেতর দিয়ে বর্জ্য পদার্থ বাহির হয়ে যেতে সাহায্য করে যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ হয়।
৫। আয়রনের চমৎকার উৎস
আয়রনের ঘাটতি সারা বিশ্বে সাধারণ একটি পুষ্টি সমস্যা। যা অ্যানেমিয়ার প্রধান কারণ। অ্যানেমিয়া হলে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, অবসাদ দেখা দেয়।
রান্না এক কাপ ছোলাতে ৪.৭ মিলিগ্রাম ডায়াটারি আয়রন থাকে যা আয়রনের দৈনিক চাহিদার ২৬% পূরণ করতে সক্ষম।
৬। ক্যান্সার রোধী
কয়েক ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে ছোলা। যখন অন্ত্রের উপকারি ব্যাকটেরিয়া ছোলার ফাইবারকে সক্রিয় করে তুলে তখন বুটাইরেট নামক মেটাবলিক উপাদান উৎপন্ন হয়। এই ছোট প্রক্রিয়াটির মধ্যদিয়ে পলিফারেশনকে দমন করে এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষকে নিজে নিজেই ধ্বংস হয়ে যেতে সাহায্য করে। ছোলার প্রধান ফাইটোস্টেরল বিটা সাইটোস্টেরল কোলন টিউমারের হার কমায়।
তাছাড়া ত্বকের জন্যও উপকারি ছোলার বেসন। চুলের খুশকি দূর করতে এবং চুলকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে ছোলা। ছোলাতে স্যাপোনিন থাকে যা ব্রেস্ট ক্যান্সার ও অষ্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে চমৎকার কাজ করে।

Back to posts
Comments:

Post a comment

Contact List
Tags: EDUCATION

》》জেনে নিন ছোলার অসাধারণ গুণাগুণের কথা

ছোলা সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার যা লিগিউম পরিবারের অন্তর্গত। ছোলাকে গারব্যাঞ্জো বিন ও বলা হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ ছোলা ৭০০০ বছর পূর্বে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম উৎপন্ন হয়। ছোলাকে সবজি হিসেবে ও প্রোটিন জাতীয় খাবার হিসেবে গণ্য করা হয়। রমজান মাস এলে আমাদের দেশে ছোলার ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। ইফতারিতে মুড়ি ও পেঁয়াজু দিয়ে ছোলা মাখিয়ে খাওয়া হয়। ছোলা বা বুটের স্বাস্থ্য উপকারিতার কথাই জেনে নিব আজ।
১। ফাইবারের পাওয়ার হাউজ
ছোলাতে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার, ফোলেট ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায় যে, দ্রবণীয় ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে করোনারি হার্ট ডিজিজের মাত্রা কমায়। ফোলেট হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধিকারী হোমোসিস্টেইনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে ম্যাগনেসিয়াম ধমনী গুলোকে রিলেক্স হতে সাহায্য করে। ছোলাতে বিটা সাইটোস্টেরল এবং স্যাপোনিন থাকে যা প্লাজমা কোলেস্টেরল লেভেল কমাতে পারে।
২। জিংক ও কপারের প্রাকৃতিক উৎস
জিংক ও কপার এমন দুটি খনিজ উপাদান যা ইমিউন কোষের কাজ ও উন্নয়নের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। এক কাপ রান্না করা ছোলা কপারের দৈনিক চাহিদার ৩০% ও জিংকের দৈনিক চাহিদার ১৭% পূরণে সক্ষম।
৩। ওজন কমায়
ফাইবার ও প্রোটিনে ভরপুর ছোলা তৃপ্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ছোলাতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে। শরীরের ইনসুলিন পাম্পকে বাঁধা দেয় ছোলার ফাইবার ও প্রোটিন। ব্লাড সুগার লেভেল বৃদ্ধি পেলে ইনসুলিন নিঃসৃত হয়। ইনসুলিন এক ধরণের ফ্যাট স্টোরিং হরমোন যা স্থূলতা সৃষ্টি করতে পারে।
৪। পরিপাক তন্ত্রের জন্য উপকারি
অন্ত্রে গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ছোলা খেলে। বেশি পরিমাণে ছোলা খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই হচ্ছে এটি। তারপরও গ্যাস্ট্রো ইন্টেস্টাইনাল সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য উপকারি হতে পারে ছোলা খাওয়া। ২০১২ সালে ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশনে প্রকাশিত রিভিউ প্রতিবেদনে জানা যায় যে, খাদ্য তালিকায় ছোলার উপস্থিতি অন্ত্রের সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। ছোলা পরিপাকতন্ত্রের ভেতর দিয়ে বর্জ্য পদার্থ বাহির হয়ে যেতে সাহায্য করে যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ হয়।
৫। আয়রনের চমৎকার উৎস
আয়রনের ঘাটতি সারা বিশ্বে সাধারণ একটি পুষ্টি সমস্যা। যা অ্যানেমিয়ার প্রধান কারণ। অ্যানেমিয়া হলে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, অবসাদ দেখা দেয়।
রান্না এক কাপ ছোলাতে ৪.৭ মিলিগ্রাম ডায়াটারি আয়রন থাকে যা আয়রনের দৈনিক চাহিদার ২৬% পূরণ করতে সক্ষম।
৬। ক্যান্সার রোধী
কয়েক ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে ছোলা। যখন অন্ত্রের উপকারি ব্যাকটেরিয়া ছোলার ফাইবারকে সক্রিয় করে তুলে তখন বুটাইরেট নামক মেটাবলিক উপাদান উৎপন্ন হয়। এই ছোট প্রক্রিয়াটির মধ্যদিয়ে পলিফারেশনকে দমন করে এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষকে নিজে নিজেই ধ্বংস হয়ে যেতে সাহায্য করে। ছোলার প্রধান ফাইটোস্টেরল বিটা সাইটোস্টেরল কোলন টিউমারের হার কমায়।
তাছাড়া ত্বকের জন্যও উপকারি ছোলার বেসন। চুলের খুশকি দূর করতে এবং চুলকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে ছোলা। ছোলাতে স্যাপোনিন থাকে যা ব্রেস্ট ক্যান্সার ও অষ্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে চমৎকার কাজ করে।

Back to posts
Comments:

Post a comment

» Join Our Facebook Group
» Join Our Page
» Our School's Website
⚽Sports Update🎾
Tags: EDUCATION

》》জেনে নিন ছোলার অসাধারণ গুণাগুণের কথা

ছোলা সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার যা লিগিউম পরিবারের অন্তর্গত। ছোলাকে গারব্যাঞ্জো বিন ও বলা হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ ছোলা ৭০০০ বছর পূর্বে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম উৎপন্ন হয়। ছোলাকে সবজি হিসেবে ও প্রোটিন জাতীয় খাবার হিসেবে গণ্য করা হয়। রমজান মাস এলে আমাদের দেশে ছোলার ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। ইফতারিতে মুড়ি ও পেঁয়াজু দিয়ে ছোলা মাখিয়ে খাওয়া হয়। ছোলা বা বুটের স্বাস্থ্য উপকারিতার কথাই জেনে নিব আজ।
১। ফাইবারের পাওয়ার হাউজ
ছোলাতে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার, ফোলেট ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায় যে, দ্রবণীয় ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে করোনারি হার্ট ডিজিজের মাত্রা কমায়। ফোলেট হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধিকারী হোমোসিস্টেইনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে ম্যাগনেসিয়াম ধমনী গুলোকে রিলেক্স হতে সাহায্য করে। ছোলাতে বিটা সাইটোস্টেরল এবং স্যাপোনিন থাকে যা প্লাজমা কোলেস্টেরল লেভেল কমাতে পারে।
২। জিংক ও কপারের প্রাকৃতিক উৎস
জিংক ও কপার এমন দুটি খনিজ উপাদান যা ইমিউন কোষের কাজ ও উন্নয়নের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। এক কাপ রান্না করা ছোলা কপারের দৈনিক চাহিদার ৩০% ও জিংকের দৈনিক চাহিদার ১৭% পূরণে সক্ষম।
৩। ওজন কমায়
ফাইবার ও প্রোটিনে ভরপুর ছোলা তৃপ্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ছোলাতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে। শরীরের ইনসুলিন পাম্পকে বাঁধা দেয় ছোলার ফাইবার ও প্রোটিন। ব্লাড সুগার লেভেল বৃদ্ধি পেলে ইনসুলিন নিঃসৃত হয়। ইনসুলিন এক ধরণের ফ্যাট স্টোরিং হরমোন যা স্থূলতা সৃষ্টি করতে পারে।
৪। পরিপাক তন্ত্রের জন্য উপকারি
অন্ত্রে গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ছোলা খেলে। বেশি পরিমাণে ছোলা খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই হচ্ছে এটি। তারপরও গ্যাস্ট্রো ইন্টেস্টাইনাল সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য উপকারি হতে পারে ছোলা খাওয়া। ২০১২ সালে ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশনে প্রকাশিত রিভিউ প্রতিবেদনে জানা যায় যে, খাদ্য তালিকায় ছোলার উপস্থিতি অন্ত্রের সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। ছোলা পরিপাকতন্ত্রের ভেতর দিয়ে বর্জ্য পদার্থ বাহির হয়ে যেতে সাহায্য করে যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ হয়।
৫। আয়রনের চমৎকার উৎস
আয়রনের ঘাটতি সারা বিশ্বে সাধারণ একটি পুষ্টি সমস্যা। যা অ্যানেমিয়ার প্রধান কারণ। অ্যানেমিয়া হলে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, অবসাদ দেখা দেয়।
রান্না এক কাপ ছোলাতে ৪.৭ মিলিগ্রাম ডায়াটারি আয়রন থাকে যা আয়রনের দৈনিক চাহিদার ২৬% পূরণ করতে সক্ষম।
৬। ক্যান্সার রোধী
কয়েক ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে ছোলা। যখন অন্ত্রের উপকারি ব্যাকটেরিয়া ছোলার ফাইবারকে সক্রিয় করে তুলে তখন বুটাইরেট নামক মেটাবলিক উপাদান উৎপন্ন হয়। এই ছোট প্রক্রিয়াটির মধ্যদিয়ে পলিফারেশনকে দমন করে এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষকে নিজে নিজেই ধ্বংস হয়ে যেতে সাহায্য করে। ছোলার প্রধান ফাইটোস্টেরল বিটা সাইটোস্টেরল কোলন টিউমারের হার কমায়।
তাছাড়া ত্বকের জন্যও উপকারি ছোলার বেসন। চুলের খুশকি দূর করতে এবং চুলকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে ছোলা। ছোলাতে স্যাপোনিন থাকে যা ব্রেস্ট ক্যান্সার ও অষ্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে চমৎকার কাজ করে।

Back to posts
Comments:

Post a comment

🌏ফেসবুক কর্ণার🌎
Tags: EDUCATION

》》জেনে নিন ছোলার অসাধারণ গুণাগুণের কথা

ছোলা সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার যা লিগিউম পরিবারের অন্তর্গত। ছোলাকে গারব্যাঞ্জো বিন ও বলা হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ ছোলা ৭০০০ বছর পূর্বে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম উৎপন্ন হয়। ছোলাকে সবজি হিসেবে ও প্রোটিন জাতীয় খাবার হিসেবে গণ্য করা হয়। রমজান মাস এলে আমাদের দেশে ছোলার ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। ইফতারিতে মুড়ি ও পেঁয়াজু দিয়ে ছোলা মাখিয়ে খাওয়া হয়। ছোলা বা বুটের স্বাস্থ্য উপকারিতার কথাই জেনে নিব আজ।
১। ফাইবারের পাওয়ার হাউজ
ছোলাতে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার, ফোলেট ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায় যে, দ্রবণীয় ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে করোনারি হার্ট ডিজিজের মাত্রা কমায়। ফোলেট হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধিকারী হোমোসিস্টেইনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে ম্যাগনেসিয়াম ধমনী গুলোকে রিলেক্স হতে সাহায্য করে। ছোলাতে বিটা সাইটোস্টেরল এবং স্যাপোনিন থাকে যা প্লাজমা কোলেস্টেরল লেভেল কমাতে পারে।
২। জিংক ও কপারের প্রাকৃতিক উৎস
জিংক ও কপার এমন দুটি খনিজ উপাদান যা ইমিউন কোষের কাজ ও উন্নয়নের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। এক কাপ রান্না করা ছোলা কপারের দৈনিক চাহিদার ৩০% ও জিংকের দৈনিক চাহিদার ১৭% পূরণে সক্ষম।
৩। ওজন কমায়
ফাইবার ও প্রোটিনে ভরপুর ছোলা তৃপ্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ছোলাতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে। শরীরের ইনসুলিন পাম্পকে বাঁধা দেয় ছোলার ফাইবার ও প্রোটিন। ব্লাড সুগার লেভেল বৃদ্ধি পেলে ইনসুলিন নিঃসৃত হয়। ইনসুলিন এক ধরণের ফ্যাট স্টোরিং হরমোন যা স্থূলতা সৃষ্টি করতে পারে।
৪। পরিপাক তন্ত্রের জন্য উপকারি
অন্ত্রে গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ছোলা খেলে। বেশি পরিমাণে ছোলা খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই হচ্ছে এটি। তারপরও গ্যাস্ট্রো ইন্টেস্টাইনাল সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য উপকারি হতে পারে ছোলা খাওয়া। ২০১২ সালে ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশনে প্রকাশিত রিভিউ প্রতিবেদনে জানা যায় যে, খাদ্য তালিকায় ছোলার উপস্থিতি অন্ত্রের সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। ছোলা পরিপাকতন্ত্রের ভেতর দিয়ে বর্জ্য পদার্থ বাহির হয়ে যেতে সাহায্য করে যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ হয়।
৫। আয়রনের চমৎকার উৎস
আয়রনের ঘাটতি সারা বিশ্বে সাধারণ একটি পুষ্টি সমস্যা। যা অ্যানেমিয়ার প্রধান কারণ। অ্যানেমিয়া হলে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, অবসাদ দেখা দেয়।
রান্না এক কাপ ছোলাতে ৪.৭ মিলিগ্রাম ডায়াটারি আয়রন থাকে যা আয়রনের দৈনিক চাহিদার ২৬% পূরণ করতে সক্ষম।
৬। ক্যান্সার রোধী
কয়েক ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে ছোলা। যখন অন্ত্রের উপকারি ব্যাকটেরিয়া ছোলার ফাইবারকে সক্রিয় করে তুলে তখন বুটাইরেট নামক মেটাবলিক উপাদান উৎপন্ন হয়। এই ছোট প্রক্রিয়াটির মধ্যদিয়ে পলিফারেশনকে দমন করে এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষকে নিজে নিজেই ধ্বংস হয়ে যেতে সাহায্য করে। ছোলার প্রধান ফাইটোস্টেরল বিটা সাইটোস্টেরল কোলন টিউমারের হার কমায়।
তাছাড়া ত্বকের জন্যও উপকারি ছোলার বেসন। চুলের খুশকি দূর করতে এবং চুলকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে ছোলা। ছোলাতে স্যাপোনিন থাকে যা ব্রেস্ট ক্যান্সার ও অষ্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে চমৎকার কাজ করে।

Back to posts
Comments:

Post a comment

🔡EDUCATION🔣
Tags: EDUCATION

》》জেনে নিন ছোলার অসাধারণ গুণাগুণের কথা

ছোলা সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার যা লিগিউম পরিবারের অন্তর্গত। ছোলাকে গারব্যাঞ্জো বিন ও বলা হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ ছোলা ৭০০০ বছর পূর্বে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম উৎপন্ন হয়। ছোলাকে সবজি হিসেবে ও প্রোটিন জাতীয় খাবার হিসেবে গণ্য করা হয়। রমজান মাস এলে আমাদের দেশে ছোলার ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। ইফতারিতে মুড়ি ও পেঁয়াজু দিয়ে ছোলা মাখিয়ে খাওয়া হয়। ছোলা বা বুটের স্বাস্থ্য উপকারিতার কথাই জেনে নিব আজ।
১। ফাইবারের পাওয়ার হাউজ
ছোলাতে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার, ফোলেট ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায় যে, দ্রবণীয় ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে করোনারি হার্ট ডিজিজের মাত্রা কমায়। ফোলেট হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধিকারী হোমোসিস্টেইনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে ম্যাগনেসিয়াম ধমনী গুলোকে রিলেক্স হতে সাহায্য করে। ছোলাতে বিটা সাইটোস্টেরল এবং স্যাপোনিন থাকে যা প্লাজমা কোলেস্টেরল লেভেল কমাতে পারে।
২। জিংক ও কপারের প্রাকৃতিক উৎস
জিংক ও কপার এমন দুটি খনিজ উপাদান যা ইমিউন কোষের কাজ ও উন্নয়নের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। এক কাপ রান্না করা ছোলা কপারের দৈনিক চাহিদার ৩০% ও জিংকের দৈনিক চাহিদার ১৭% পূরণে সক্ষম।
৩। ওজন কমায়
ফাইবার ও প্রোটিনে ভরপুর ছোলা তৃপ্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ছোলাতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে। শরীরের ইনসুলিন পাম্পকে বাঁধা দেয় ছোলার ফাইবার ও প্রোটিন। ব্লাড সুগার লেভেল বৃদ্ধি পেলে ইনসুলিন নিঃসৃত হয়। ইনসুলিন এক ধরণের ফ্যাট স্টোরিং হরমোন যা স্থূলতা সৃষ্টি করতে পারে।
৪। পরিপাক তন্ত্রের জন্য উপকারি
অন্ত্রে গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ছোলা খেলে। বেশি পরিমাণে ছোলা খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই হচ্ছে এটি। তারপরও গ্যাস্ট্রো ইন্টেস্টাইনাল সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য উপকারি হতে পারে ছোলা খাওয়া। ২০১২ সালে ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশনে প্রকাশিত রিভিউ প্রতিবেদনে জানা যায় যে, খাদ্য তালিকায় ছোলার উপস্থিতি অন্ত্রের সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। ছোলা পরিপাকতন্ত্রের ভেতর দিয়ে বর্জ্য পদার্থ বাহির হয়ে যেতে সাহায্য করে যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ হয়।
৫। আয়রনের চমৎকার উৎস
আয়রনের ঘাটতি সারা বিশ্বে সাধারণ একটি পুষ্টি সমস্যা। যা অ্যানেমিয়ার প্রধান কারণ। অ্যানেমিয়া হলে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, অবসাদ দেখা দেয়।
রান্না এক কাপ ছোলাতে ৪.৭ মিলিগ্রাম ডায়াটারি আয়রন থাকে যা আয়রনের দৈনিক চাহিদার ২৬% পূরণ করতে সক্ষম।
৬। ক্যান্সার রোধী
কয়েক ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে ছোলা। যখন অন্ত্রের উপকারি ব্যাকটেরিয়া ছোলার ফাইবারকে সক্রিয় করে তুলে তখন বুটাইরেট নামক মেটাবলিক উপাদান উৎপন্ন হয়। এই ছোট প্রক্রিয়াটির মধ্যদিয়ে পলিফারেশনকে দমন করে এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষকে নিজে নিজেই ধ্বংস হয়ে যেতে সাহায্য করে। ছোলার প্রধান ফাইটোস্টেরল বিটা সাইটোস্টেরল কোলন টিউমারের হার কমায়।
তাছাড়া ত্বকের জন্যও উপকারি ছোলার বেসন। চুলের খুশকি দূর করতে এবং চুলকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে ছোলা। ছোলাতে স্যাপোনিন থাকে যা ব্রেস্ট ক্যান্সার ও অষ্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে চমৎকার কাজ করে।

Back to posts
Comments:

Post a comment

🌙আজকের হাদিস🌙
খালিদ ইবনু মাখলাদ (রহঃ) সাহল (রাঃ) থেকে বর্নিত....

নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জান্নাতে রায়্যান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) র পালনকারীরাই প্রবেশ করবে। তাঁদের ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালনকারীরা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তাঁরা ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে না। তাঁদের প্রবেশের পরই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। যাতে এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ না করে।

🏆Clash Of Clan Zone🏆
Tags: EDUCATION

》》জেনে নিন ছোলার অসাধারণ গুণাগুণের কথা

ছোলা সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার যা লিগিউম পরিবারের অন্তর্গত। ছোলাকে গারব্যাঞ্জো বিন ও বলা হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ ছোলা ৭০০০ বছর পূর্বে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম উৎপন্ন হয়। ছোলাকে সবজি হিসেবে ও প্রোটিন জাতীয় খাবার হিসেবে গণ্য করা হয়। রমজান মাস এলে আমাদের দেশে ছোলার ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। ইফতারিতে মুড়ি ও পেঁয়াজু দিয়ে ছোলা মাখিয়ে খাওয়া হয়। ছোলা বা বুটের স্বাস্থ্য উপকারিতার কথাই জেনে নিব আজ।
১। ফাইবারের পাওয়ার হাউজ
ছোলাতে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার, ফোলেট ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায় যে, দ্রবণীয় ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে করোনারি হার্ট ডিজিজের মাত্রা কমায়। ফোলেট হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধিকারী হোমোসিস্টেইনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে ম্যাগনেসিয়াম ধমনী গুলোকে রিলেক্স হতে সাহায্য করে। ছোলাতে বিটা সাইটোস্টেরল এবং স্যাপোনিন থাকে যা প্লাজমা কোলেস্টেরল লেভেল কমাতে পারে।
২। জিংক ও কপারের প্রাকৃতিক উৎস
জিংক ও কপার এমন দুটি খনিজ উপাদান যা ইমিউন কোষের কাজ ও উন্নয়নের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। এক কাপ রান্না করা ছোলা কপারের দৈনিক চাহিদার ৩০% ও জিংকের দৈনিক চাহিদার ১৭% পূরণে সক্ষম।
৩। ওজন কমায়
ফাইবার ও প্রোটিনে ভরপুর ছোলা তৃপ্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ছোলাতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে। শরীরের ইনসুলিন পাম্পকে বাঁধা দেয় ছোলার ফাইবার ও প্রোটিন। ব্লাড সুগার লেভেল বৃদ্ধি পেলে ইনসুলিন নিঃসৃত হয়। ইনসুলিন এক ধরণের ফ্যাট স্টোরিং হরমোন যা স্থূলতা সৃষ্টি করতে পারে।
৪। পরিপাক তন্ত্রের জন্য উপকারি
অন্ত্রে গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ছোলা খেলে। বেশি পরিমাণে ছোলা খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই হচ্ছে এটি। তারপরও গ্যাস্ট্রো ইন্টেস্টাইনাল সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য উপকারি হতে পারে ছোলা খাওয়া। ২০১২ সালে ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশনে প্রকাশিত রিভিউ প্রতিবেদনে জানা যায় যে, খাদ্য তালিকায় ছোলার উপস্থিতি অন্ত্রের সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। ছোলা পরিপাকতন্ত্রের ভেতর দিয়ে বর্জ্য পদার্থ বাহির হয়ে যেতে সাহায্য করে যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ হয়।
৫। আয়রনের চমৎকার উৎস
আয়রনের ঘাটতি সারা বিশ্বে সাধারণ একটি পুষ্টি সমস্যা। যা অ্যানেমিয়ার প্রধান কারণ। অ্যানেমিয়া হলে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, অবসাদ দেখা দেয়।
রান্না এক কাপ ছোলাতে ৪.৭ মিলিগ্রাম ডায়াটারি আয়রন থাকে যা আয়রনের দৈনিক চাহিদার ২৬% পূরণ করতে সক্ষম।
৬। ক্যান্সার রোধী
কয়েক ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে ছোলা। যখন অন্ত্রের উপকারি ব্যাকটেরিয়া ছোলার ফাইবারকে সক্রিয় করে তুলে তখন বুটাইরেট নামক মেটাবলিক উপাদান উৎপন্ন হয়। এই ছোট প্রক্রিয়াটির মধ্যদিয়ে পলিফারেশনকে দমন করে এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষকে নিজে নিজেই ধ্বংস হয়ে যেতে সাহায্য করে। ছোলার প্রধান ফাইটোস্টেরল বিটা সাইটোস্টেরল কোলন টিউমারের হার কমায়।
তাছাড়া ত্বকের জন্যও উপকারি ছোলার বেসন। চুলের খুশকি দূর করতে এবং চুলকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে ছোলা। ছোলাতে স্যাপোনিন থাকে যা ব্রেস্ট ক্যান্সার ও অষ্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে চমৎকার কাজ করে।

Back to posts
Comments:

Post a comment

📰বাংলাদেশের সকল পত্রিকা📰
»দৈনিক আমার দেশ 📰
»ময়মনসিংহ বার্তা 📰
»আলোকিত ময়মনসিংহ 📰
»ICT নিউজ 📰
»টেকটিউনস্ 📰
»সময় নিউজ 📰
»দৈনিক সংবাদ 📰
🌏অন্য রকম খবর🌏
Tags: EDUCATION

》》জেনে নিন ছোলার অসাধারণ গুণাগুণের কথা

ছোলা সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার যা লিগিউম পরিবারের অন্তর্গত। ছোলাকে গারব্যাঞ্জো বিন ও বলা হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ ছোলা ৭০০০ বছর পূর্বে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম উৎপন্ন হয়। ছোলাকে সবজি হিসেবে ও প্রোটিন জাতীয় খাবার হিসেবে গণ্য করা হয়। রমজান মাস এলে আমাদের দেশে ছোলার ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। ইফতারিতে মুড়ি ও পেঁয়াজু দিয়ে ছোলা মাখিয়ে খাওয়া হয়। ছোলা বা বুটের স্বাস্থ্য উপকারিতার কথাই জেনে নিব আজ।
১। ফাইবারের পাওয়ার হাউজ
ছোলাতে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার, ফোলেট ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায় যে, দ্রবণীয় ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে করোনারি হার্ট ডিজিজের মাত্রা কমায়। ফোলেট হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধিকারী হোমোসিস্টেইনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে ম্যাগনেসিয়াম ধমনী গুলোকে রিলেক্স হতে সাহায্য করে। ছোলাতে বিটা সাইটোস্টেরল এবং স্যাপোনিন থাকে যা প্লাজমা কোলেস্টেরল লেভেল কমাতে পারে।
২। জিংক ও কপারের প্রাকৃতিক উৎস
জিংক ও কপার এমন দুটি খনিজ উপাদান যা ইমিউন কোষের কাজ ও উন্নয়নের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। এক কাপ রান্না করা ছোলা কপারের দৈনিক চাহিদার ৩০% ও জিংকের দৈনিক চাহিদার ১৭% পূরণে সক্ষম।
৩। ওজন কমায়
ফাইবার ও প্রোটিনে ভরপুর ছোলা তৃপ্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ছোলাতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে। শরীরের ইনসুলিন পাম্পকে বাঁধা দেয় ছোলার ফাইবার ও প্রোটিন। ব্লাড সুগার লেভেল বৃদ্ধি পেলে ইনসুলিন নিঃসৃত হয়। ইনসুলিন এক ধরণের ফ্যাট স্টোরিং হরমোন যা স্থূলতা সৃষ্টি করতে পারে।
৪। পরিপাক তন্ত্রের জন্য উপকারি
অন্ত্রে গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ছোলা খেলে। বেশি পরিমাণে ছোলা খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই হচ্ছে এটি। তারপরও গ্যাস্ট্রো ইন্টেস্টাইনাল সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য উপকারি হতে পারে ছোলা খাওয়া। ২০১২ সালে ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশনে প্রকাশিত রিভিউ প্রতিবেদনে জানা যায় যে, খাদ্য তালিকায় ছোলার উপস্থিতি অন্ত্রের সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। ছোলা পরিপাকতন্ত্রের ভেতর দিয়ে বর্জ্য পদার্থ বাহির হয়ে যেতে সাহায্য করে যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ হয়।
৫। আয়রনের চমৎকার উৎস
আয়রনের ঘাটতি সারা বিশ্বে সাধারণ একটি পুষ্টি সমস্যা। যা অ্যানেমিয়ার প্রধান কারণ। অ্যানেমিয়া হলে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, অবসাদ দেখা দেয়।
রান্না এক কাপ ছোলাতে ৪.৭ মিলিগ্রাম ডায়াটারি আয়রন থাকে যা আয়রনের দৈনিক চাহিদার ২৬% পূরণ করতে সক্ষম।
৬। ক্যান্সার রোধী
কয়েক ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে ছোলা। যখন অন্ত্রের উপকারি ব্যাকটেরিয়া ছোলার ফাইবারকে সক্রিয় করে তুলে তখন বুটাইরেট নামক মেটাবলিক উপাদান উৎপন্ন হয়। এই ছোট প্রক্রিয়াটির মধ্যদিয়ে পলিফারেশনকে দমন করে এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষকে নিজে নিজেই ধ্বংস হয়ে যেতে সাহায্য করে। ছোলার প্রধান ফাইটোস্টেরল বিটা সাইটোস্টেরল কোলন টিউমারের হার কমায়।
তাছাড়া ত্বকের জন্যও উপকারি ছোলার বেসন। চুলের খুশকি দূর করতে এবং চুলকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে ছোলা। ছোলাতে স্যাপোনিন থাকে যা ব্রেস্ট ক্যান্সার ও অষ্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে চমৎকার কাজ করে।

Back to posts
Comments:

Post a comment

❇❇কুরাআন ও হাদিস✨✨
Tags: EDUCATION

》》জেনে নিন ছোলার অসাধারণ গুণাগুণের কথা

ছোলা সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার যা লিগিউম পরিবারের অন্তর্গত। ছোলাকে গারব্যাঞ্জো বিন ও বলা হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ ছোলা ৭০০০ বছর পূর্বে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম উৎপন্ন হয়। ছোলাকে সবজি হিসেবে ও প্রোটিন জাতীয় খাবার হিসেবে গণ্য করা হয়। রমজান মাস এলে আমাদের দেশে ছোলার ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। ইফতারিতে মুড়ি ও পেঁয়াজু দিয়ে ছোলা মাখিয়ে খাওয়া হয়। ছোলা বা বুটের স্বাস্থ্য উপকারিতার কথাই জেনে নিব আজ।
১। ফাইবারের পাওয়ার হাউজ
ছোলাতে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার, ফোলেট ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায় যে, দ্রবণীয় ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে করোনারি হার্ট ডিজিজের মাত্রা কমায়। ফোলেট হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধিকারী হোমোসিস্টেইনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে ম্যাগনেসিয়াম ধমনী গুলোকে রিলেক্স হতে সাহায্য করে। ছোলাতে বিটা সাইটোস্টেরল এবং স্যাপোনিন থাকে যা প্লাজমা কোলেস্টেরল লেভেল কমাতে পারে।
২। জিংক ও কপারের প্রাকৃতিক উৎস
জিংক ও কপার এমন দুটি খনিজ উপাদান যা ইমিউন কোষের কাজ ও উন্নয়নের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। এক কাপ রান্না করা ছোলা কপারের দৈনিক চাহিদার ৩০% ও জিংকের দৈনিক চাহিদার ১৭% পূরণে সক্ষম।
৩। ওজন কমায়
ফাইবার ও প্রোটিনে ভরপুর ছোলা তৃপ্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ছোলাতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে। শরীরের ইনসুলিন পাম্পকে বাঁধা দেয় ছোলার ফাইবার ও প্রোটিন। ব্লাড সুগার লেভেল বৃদ্ধি পেলে ইনসুলিন নিঃসৃত হয়। ইনসুলিন এক ধরণের ফ্যাট স্টোরিং হরমোন যা স্থূলতা সৃষ্টি করতে পারে।
৪। পরিপাক তন্ত্রের জন্য উপকারি
অন্ত্রে গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ছোলা খেলে। বেশি পরিমাণে ছোলা খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই হচ্ছে এটি। তারপরও গ্যাস্ট্রো ইন্টেস্টাইনাল সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য উপকারি হতে পারে ছোলা খাওয়া। ২০১২ সালে ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশনে প্রকাশিত রিভিউ প্রতিবেদনে জানা যায় যে, খাদ্য তালিকায় ছোলার উপস্থিতি অন্ত্রের সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। ছোলা পরিপাকতন্ত্রের ভেতর দিয়ে বর্জ্য পদার্থ বাহির হয়ে যেতে সাহায্য করে যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ হয়।
৫। আয়রনের চমৎকার উৎস
আয়রনের ঘাটতি সারা বিশ্বে সাধারণ একটি পুষ্টি সমস্যা। যা অ্যানেমিয়ার প্রধান কারণ। অ্যানেমিয়া হলে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, অবসাদ দেখা দেয়।
রান্না এক কাপ ছোলাতে ৪.৭ মিলিগ্রাম ডায়াটারি আয়রন থাকে যা আয়রনের দৈনিক চাহিদার ২৬% পূরণ করতে সক্ষম।
৬। ক্যান্সার রোধী
কয়েক ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে ছোলা। যখন অন্ত্রের উপকারি ব্যাকটেরিয়া ছোলার ফাইবারকে সক্রিয় করে তুলে তখন বুটাইরেট নামক মেটাবলিক উপাদান উৎপন্ন হয়। এই ছোট প্রক্রিয়াটির মধ্যদিয়ে পলিফারেশনকে দমন করে এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষকে নিজে নিজেই ধ্বংস হয়ে যেতে সাহায্য করে। ছোলার প্রধান ফাইটোস্টেরল বিটা সাইটোস্টেরল কোলন টিউমারের হার কমায়।
তাছাড়া ত্বকের জন্যও উপকারি ছোলার বেসন। চুলের খুশকি দূর করতে এবং চুলকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে ছোলা। ছোলাতে স্যাপোনিন থাকে যা ব্রেস্ট ক্যান্সার ও অষ্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে চমৎকার কাজ করে।

Back to posts
Comments:

Post a comment


🚀💡বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি》》
Tags: EDUCATION

》》জেনে নিন ছোলার অসাধারণ গুণাগুণের কথা

ছোলা সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার যা লিগিউম পরিবারের অন্তর্গত। ছোলাকে গারব্যাঞ্জো বিন ও বলা হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ ছোলা ৭০০০ বছর পূর্বে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম উৎপন্ন হয়। ছোলাকে সবজি হিসেবে ও প্রোটিন জাতীয় খাবার হিসেবে গণ্য করা হয়। রমজান মাস এলে আমাদের দেশে ছোলার ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। ইফতারিতে মুড়ি ও পেঁয়াজু দিয়ে ছোলা মাখিয়ে খাওয়া হয়। ছোলা বা বুটের স্বাস্থ্য উপকারিতার কথাই জেনে নিব আজ।
১। ফাইবারের পাওয়ার হাউজ
ছোলাতে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার, ফোলেট ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা যায় যে, দ্রবণীয় ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে করোনারি হার্ট ডিজিজের মাত্রা কমায়। ফোলেট হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধিকারী হোমোসিস্টেইনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যদিকে ম্যাগনেসিয়াম ধমনী গুলোকে রিলেক্স হতে সাহায্য করে। ছোলাতে বিটা সাইটোস্টেরল এবং স্যাপোনিন থাকে যা প্লাজমা কোলেস্টেরল লেভেল কমাতে পারে।
২। জিংক ও কপারের প্রাকৃতিক উৎস
জিংক ও কপার এমন দুটি খনিজ উপাদান যা ইমিউন কোষের কাজ ও উন্নয়নের জন্য অত্যাবশ্যকীয়। এক কাপ রান্না করা ছোলা কপারের দৈনিক চাহিদার ৩০% ও জিংকের দৈনিক চাহিদার ১৭% পূরণে সক্ষম।
৩। ওজন কমায়
ফাইবার ও প্রোটিনে ভরপুর ছোলা তৃপ্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ছোলাতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে। শরীরের ইনসুলিন পাম্পকে বাঁধা দেয় ছোলার ফাইবার ও প্রোটিন। ব্লাড সুগার লেভেল বৃদ্ধি পেলে ইনসুলিন নিঃসৃত হয়। ইনসুলিন এক ধরণের ফ্যাট স্টোরিং হরমোন যা স্থূলতা সৃষ্টি করতে পারে।
৪। পরিপাক তন্ত্রের জন্য উপকারি
অন্ত্রে গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় ছোলা খেলে। বেশি পরিমাণে ছোলা খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই হচ্ছে এটি। তারপরও গ্যাস্ট্রো ইন্টেস্টাইনাল সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের জন্য উপকারি হতে পারে ছোলা খাওয়া। ২০১২ সালে ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশনে প্রকাশিত রিভিউ প্রতিবেদনে জানা যায় যে, খাদ্য তালিকায় ছোলার উপস্থিতি অন্ত্রের সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। ছোলা পরিপাকতন্ত্রের ভেতর দিয়ে বর্জ্য পদার্থ বাহির হয়ে যেতে সাহায্য করে যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ হয়।
৫। আয়রনের চমৎকার উৎস
আয়রনের ঘাটতি সারা বিশ্বে সাধারণ একটি পুষ্টি সমস্যা। যা অ্যানেমিয়ার প্রধান কারণ। অ্যানেমিয়া হলে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, অবসাদ দেখা দেয়।
রান্না এক কাপ ছোলাতে ৪.৭ মিলিগ্রাম ডায়াটারি আয়রন থাকে যা আয়রনের দৈনিক চাহিদার ২৬% পূরণ করতে সক্ষম।
৬। ক্যান্সার রোধী
কয়েক ধরণের ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে ছোলা। যখন অন্ত্রের উপকারি ব্যাকটেরিয়া ছোলার ফাইবারকে সক্রিয় করে তুলে তখন বুটাইরেট নামক মেটাবলিক উপাদান উৎপন্ন হয়। এই ছোট প্রক্রিয়াটির মধ্যদিয়ে পলিফারেশনকে দমন করে এবং ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষকে নিজে নিজেই ধ্বংস হয়ে যেতে সাহায্য করে। ছোলার প্রধান ফাইটোস্টেরল বিটা সাইটোস্টেরল কোলন টিউমারের হার কমায়।
তাছাড়া ত্বকের জন্যও উপকারি ছোলার বেসন। চুলের খুশকি দূর করতে এবং চুলকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে ছোলা। ছোলাতে স্যাপোনিন থাকে যা ব্রেস্ট ক্যান্সার ও অষ্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে চমৎকার কাজ করে।

Back to posts
Comments:

Post a comment

📩লাইভ চ্যাট📨
Chat করার পূর্েব সবাই যার যার User Name set করে নিবি এবং ওই একই User Name দিয়ে Chat করতে হবে।
■ ময়মনসিংহ জিলা স্কুল,শিফট:-প্রভাতি,ব্যাচ:-২০১৬ ■
Admine Pannel
》》যেকোন Report অথবা যদি কারো Mobile Number অথবা facebook Link ভুল থাকে আমাকে জানা.... Click Here

»অথবা ফেসবুক এ সরাসরি মেসেজ দাও...click here
.
59
Navigation
Condition