Thursday |
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৬৯ সালে চাঁদে মানুষ
পাঠিয়ে বিশ্বে এক বিরল সম্মানের আসনে
বসেছে। কিন্তু সত্যিই কি মানুষ চাঁদে
গিয়েছে? রাশিয়া, চীন, জাপান, ফ্রান্স ও
ভারতের মতো উন্নত দেশগুলোর বিজ্ঞানীরা
বলেন পৃথিবীর ইতিহাসে আজ পর্যন্ত কোনো
মানুষ চাঁদে অবতরণ করতে পারেনি। নাসার
মাধ্যমে আমেরিকার চাঁদে মানুষ পাঠানোর
ঘটনাটি ছিল শুধুই সাজানো নাটক। তারা
বলেন, নীল আর্মস্ট্রং, মাইকেল কলিন্স ও বুজ
অলড্রিনের চাঁদে যাওয়ার গোটা ঘটনাটি
ছিল সিনেমা। বিস্তারিত লিখেছেন ওবায়দুল
গনি চন্দন
চাঁদে যাওয়ার এই গোটা কাহিনীটা ঠিক
তেমনভাবে সাজানো হয়েছিল যেমন ভাবে
সাজানো থাকে সিনেমার স্ক্রিপ্ট। উন্নত
বিশ্বের বিজ্ঞানীদের ধারণা চাঁদে
যাওয়ার এই নাটকের শুটিং করা হয়েছিল
দুর্গম কোনো মরু অঞ্চলে, যেখানে নাটক
সাজালে কেউ বুঝতে পারবে না। হলিউডে
মার্কিন পরিচালকরা এত অবিশ্বাস্য সব
সিনেমা তৈরি করে থাকেন যে তাদের
পক্ষে এরকম একটি চন্দ্র বিজয়ের শুটিং করা
খুবই সহজ ব্যাপার। কিছু কিছু বিজ্ঞানী এই
চন্দ্র বিজয় নাটকের পরিচালকের নামও বলে
দিয়েছেন, তাদের মতে এই মিথ্যা কাহিনীর
পরিচালক ছিলেন বিখ্যাত মার্কিন
পরিচালক স্ট্যানলি কুবরিক।
বিজ্ঞানীরা নাসার সমালোচনা করে বলেন,
১৯৬৯ সালে নাসার এমন কোনো উন্নত
প্রযুক্তি ছিল না যা দিয়ে মানুষ চাঁদে গমন
করতে পারে। এপোলো-১১ নামের মহাকাশ
যানটি ছিল সাজানো নাটকের অংশ। ১৯৬৯
সালে যদি সত্যিই মার্কিনরা চাঁদে মানুষ
পাঠিয়ে থাকে তাহলে তারপর আরো প্রায়
৫০ বছর অতিবাহিত হলেও তারা আর
দ্বিতীয়বার চাঁদে মানুষ পাঠাতে পারছে না
কেন? ১৯৬৯ সালের চেয়ে বর্তমান আমেরিকা
আরো অনেক বেশি উন্নত, ১৯৬৯ সালের চেয়ে
এখন নাসার কাছে আরো উন্নত প্রযুক্তির
বিভিন্ন মহাকাশ যান আছে তবে এখন তারা
চাঁদে আর মানুষ পাঠাতে পারছে না কেন?
মানুষ সত্যিই চাঁদে গেছে নাকি এটা
বিশ্বের মানুষের সঙ্গে ইতিহাসের সবচেয়ে
বড় প্রতারণা সেটা আরো বেশি ঘনীভূত হয়
মার্কিন রকেট প্রযুক্তি তত্ত্বের প্রবক্তা
বিল কেসিংয়ের বক্তব্যের পর। ১৯৭৪ সালে
তিনি একটি বই লেখেন ‘আমেরিকার ৩০
বিলিয়ন ডলারের জোচ্চুরি’ শিরোনামে। এই
গ্রন্থে তিনি উল্লেখ করেন আমরা কখনই
চাঁদে যাইনি। চাঁদে যাওয়ার বিষয়টি ছিল
বিশ্ববাসীর সঙ্গে প্রতারণা। তিনি আরো
উল্লেখ করেন এপোলো-১১ মহাকাশ যানটি
উৎক্ষেপণের কিছু সময় পর যানটি অদৃশ্য হয়ে
যায়। এরপর তিন নভোচারী বিশিষ্ট লুনার
ক্যাপসুলটি একটি সামরিক কার্গো বিমানে
সরিয়ে ফেলা হয় এবং আট দিন পর
ক্যাপসুলটি প্রশান্ত মহাসাগরে ফেলে দেয়া
হয়। তারপর নভোচারীদের নিয়ে নেভাদার
মরুভূমিতে কঠোর সামরিক প্রহরার মধ্য দিয়ে
চন্দ্র বিজয়ের নাটকটি মঞ্চস্থ করা হয়।
মহাকাশচারীরা চাঁদে অবতরণ করার পর
সেখানে তাদের কয়েকটি ছবি ও ভিডিও
তোলা হয় এবং চন্দ্র থেকে তারা কয়েকটি
পাথর সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন। এই ছবি,
ভিডিও ও পাথরগুলো তাদের সত্যিকারের
চাঁদে যাওয়ার প্রমাণ বহন করে। কিন্তু
বিরুদ্ধবাদীরা চাঁদের এই ছবি ও পাথর নিয়ে
প্রশ্ন তুলেছেন। তারা চন্দ্র বিজয়কে
সাজানো নাটক হিসেবে প্রমাণের জন্য বেশ
কয়েকটি যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। পৃথিবী
থেকে আমরা রাতের আকাশে নক্ষত্র বা
তারকা দেখতে পাই সুতরাং চাঁদের রাতের
আকাশে তারকাগুলোকে আরো উজ্জ্বল
দেখানোর কথা। কিন্তু নভোচারীরা চাঁদে
গিয়ে যে ছবিগুলো তুলেছেন তাতে কোনো
ছবিতে চাঁদের আকাশে তারকা দেখা যাচ্ছে
না। চাঁদ থেকে ফেরার পর মহাকাশচারীরা
বলেছিলেন সেখানে কোনো অক্সিজেন বা
বাতাস নেই ফলে সেখানে স্বাভাবিক
অবস্থায় এক মিনিটও বাঁচা সম্ভব নয়। কিন্তু
চাঁদে থাকতে মহাকাশচারীদের যে ছবি
তোলা হয়েছিল তাতে দেখা যায় চাঁদে
তাদের পুঁতে রাখা মার্কিন পতাকা বাতাসে
উড়ছে। তাহলে চাঁদে বাতাস না থাকলে
তাদের পতাকা বাতাসে উড়ছিল কীভাবে।
সেটা কি তাহলে পৃথিবীর বাতাস ছিল!
ছবিতে দেখা যায় নভোচারীরা যেখানে
অবতরণ করেছিলেন সেখানে পাশাপাশি
বস্তুগুলোর ছায়া পরস্পরকে ছেদ করেছে এবং
বিভিন্ন বস্তুর ছায়া বিভিন্ন দিকে গেছে।
কিন্তু চাঁদে শুধু আলোর উৎস সূর্য হয়ে থাকলে
বস্তুর ছায়া পরস্পরকে ছেদ না করে
সমান্তরাল হওয়ার কথা। তাহলে কি সেখানে
শুটিং করার সময় কৃত্রিম আলো ব্যবহার করা
হয়েছিল! মানব ইতিহাসে চন্দ্র বিজয় ছিল
সবচেয়ে বড় ঘটনা তারপরও এই অভিযানের
টেলিমেট্রি ডাটা পরে আর খুঁজে পাওয়া
যায়নি। অবশ্য নাসা বলেছিল এই ডাটা
তাদের কাছ থেকে হারিয়ে গেছে। কিন্তু
এমন গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ডাটা তাদের
নিকট থেকে কীভাবে হারিয়ে যায় সেটা
একটি প্রশ্নের বিষয়। এ সব বিষয়গুলো ছাড়াও
ছোটখাটো অনেক অমীমাংসিত প্রশ্ন
লুকিয়ে আছে চন্দ্র বিজয় কাহিনীতে। চন্দ্র
বিজয় কর্মকাণ্ডে জড়িত নভোচারীদের মধ্য
থেকে গাস গ্রিসাম নামের এক নভোচারী
চন্দ্র জয়ের পর নিহত হন। ধারণা করা হয়
তিনি আমেরিকার এই প্রতারণার কথা
বিশ্বকে জানিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তাই
তাকে কৌশলে হত্যা করা হয়েছিল। কারো
কারো মতে চন্দ্র বিজয়ের এই নাটক মঞ্চস্থ
করা হয়েছিল মার্কিন ঘাঁটি ‘এরিয়া৫১’তে।
যে