Thursday |
ব্রাজিল দলে নেই দলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চিলি ধুঁকছে। শঙ্কা আছে উরুগুয়ের সেরা তারকা লুইস সুয়ারেসের ‘ফিটনেস’ নিয়ে। অবশেষে দেশের হয়ে সাফল্য পাওয়ার জন্য এবারের কোপা আমেরিকাই কি মেসির সেরা সুযোগ?
যুক্তরাষ্ট্রে আগামী শুক্রবার শুরু হচ্ছে কোপা আমেরিকার শতবর্ষী আসর।
আধুনিক ফুটবলে মেসির অবস্থান নিয়ে কারও মনে কোনো সন্দেহ নেই; অন্তত ক্লাব ফুটবলে।
রেকর্ড পাঁচবারের বর্ষসেরা এই ফুটবলার বার্সেলোনার হয়ে ২৮টি শিরোপা জেতেন। সব মিলিয়ে ক্যারিয়ারে শিরোপা জেতেন ৩০টি। কিন্তু আর্জেন্টিনাকে বড় কোনো টুর্নামেন্টে সাফল্য এনে দিতে পারেননি। অলিম্পিক সোনা আর ২০০৫ সালের যুব বিশ্বকাপ জেতাই সান্ত্বনা হয়ে আছে তার।
তবে ২৮ বছর বয়সী মেসিকে সব সময়ই সমালোচনা সয়ে আসতে হচ্ছে যে, রোসারিওতে জন্ম নেওয়া এই ফুটবলার দুই কিংবদন্তি ব্রাজিলের পেলে ও আর্জেন্টিনার দিয়েগো মারাদোনার মতো দেশকে আন্তর্জাতিক সাফল্য এনে দিতে পারেননি।
পেলে ব্রাজিলের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ জেতেন। মারাদোনা ছিলেন ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়ক।
আর্জেন্টিনার হয়ে দুবার কোপা আমেরিকার রানার্সআপের স্বাদ পেয়েছেন মেসি। আর্জেন্টিনা ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে তার নেতৃত্বেই। পর পর দুটি ফাইনালে ব্যর্থ মেসির কাঁধে এবার আর্জেন্টিনার ২৩ বছরের শিরোপা-খরা কাটানোর ভার।
এবারের কোপা আমেরিকায় ব্রাজিলকে খেলতে হচ্ছে অধিনায়ক নেইমারকে ছাড়া। অগাস্টে রিও দে জেনেইরো অলিম্পিক গেমসে কেবল খেলবেন তিনি।
আর্জেন্টিনাকে হারিয়েই গত বছর দেশের মাটিতে কোপা আমেরিকার শিরোপা জেতে চিলি। কিন্তু নিজেদের ইতিহাসে কোপা আমেরিকার প্রথম শিরোপা জয়ের পর থেকেই যেন নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে দলটি।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি চিলি। আর কোপা আমেরিকার প্রস্তুতি ম্যাচে জ্যামাইকার কাছেও হেরে যায় তারা।
সেভিয়ার বিপক্ষে কোপা দেল রের ফাইনালে হ্যামস্ট্রিংয়ের পেশির চোটে পড়েন উরুগুয়ের সুয়ারেস। মেসির এই বার্সেলোনা সতীর্থের সময় মতো সুস্থ হয়ে ওঠা নিয়ে শঙ্কা আছে।
২০০৭ ও ২০১৫ সালের কোপা আমেরিকা, মাঝে ২০১৪ বিশ্বকাপ; তিনবার খুব কাছে গিয়েও ব্যর্থ হওয়া মেসিকে হয়ত কোপা আমেরিকার বিশেষ এই আসরে আনুষ্ঠানিকভাবে ফুটবলের রাজ-মুকুট পরতে দেখা যাবে।