Thursday |
: সোনার ডিম পাড়া হাঁসের গল্পের সাথে তুলনায় এসেছেন সময়ের সেরা নাম মুস্তাফিজুর রহমান।
আইপিএল খেলতে গিয়ে এই ঠান্ডা বিতর্কে মুস্তাফিজুর রহমান। আইপিএল ফেরত মুস্তাফিজকে বরণ করে নেয়া হয় রাজকীয়ভাবে।
মুস্তাফিজুর রহমান দেশের কোনো সিরিজ থেকে নয় ভারতের টি-টোয়েন্টি আসর থেকে ফিরেছেন। রাজকুমারের মত বরণ করা হয় তাকে।
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদও মুস্তাফিজকে বরণ করেছে। বিদেশি লিগে সাফল্য পেলেই দেশের ক্রিকেটের অবস্থার পরিবর্তন হয় না।
এখানেই প্রশ্নটা। মুস্তাফিজ মুস্তাফিজ রবে ঠান্ডা ঝড় দেশের ক্রিকেটে। দেশকে মুস্তাফিজ কি দিতে পারেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন।
১১ মাসের ক্যারিয়ারে ৩ বার ইনজুরির কবলে পড়েছেন মুস্তফিজ। কয়েক মাস আগে বোলিং দুর্বলতার কারণে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জিততে পারেনি।
আইসিসি র্যাকিংয়ে বেশ অবনতি হয় বাংলাদেশের। আইপিএল ফেরত মুস্তাফিজকে নিয়ে এত উৎসবে কিছুটা ভিন্ন স্বর খোদ জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফিরও।
তিনি বলেন, আইপিএল নয় মুস্তাফিজ দেশের হয়ে ভালো খেলতে পারলেই আমি অনেক খুশি হব। মুস্তাফিজের খুব বেশি প্রশংসা মানতে নারাজ জাতীয় কোচ হাথুরুসিংহেও।
এক পর্যায়ে
তিনি বলেন, মুস্তাফিজের বোলিং রহস্য ঠিকই বের করবে ব্যাটসম্যানরা। আইপিএলে মুস্তাফিজ যেভাবে শুরুটা করেন শেষটা হয়নি সেভাবে।
মাশরাফি ধারনা করেছিলেন মুস্তাফিজ আইপিএল সেরা বোলার হবেন। কিন্তু উইকেট শিকারে তিনি ৫ নম্বরে। ব্যাট হাতে গোটা আইপিএল আসরে নামতেই হয়নি মুস্তাফিজকে।
শুরুর দিকে সেরা ইকোনমি ছিল মুস্তাফিজের। কিন্তু পরে জাম্পার কাছে সেরা ইকোনমি হারান মুস্তাফিজ। মুস্তাফিজ কি বিদেশি লিগেরই ক্রিকেটার?
দেশের হয়ে কখন খেলবেন। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তার খেলার কোনো সম্ভাবনাই নেই। নিজেকে ফিট মনে করলেই কাউন্টি খেলতে উড়াল দেবেন মুস্তাফিজ।
আইপিএল খেলে পড়েছেন ইনজুরিতে। কাউন্টি খেলতে গেলে ইনজুরিতে পড়বেন না এর কি নিশ্চয়তা রয়েছে?
শুধু কাউন্টিই নয় বছর জুড়েই চলে বিদেশি লিগ। একের পর এক এসব আসরে খেললে লাল-সবুজের ছেলে কখন দেশের মাঠে গড়াগড়ি করবেন?
কাউন্টি রেখে মোহামেডানে খেললে মুস্তাফিজের দেশকে ভালোবাসার একটি নজির পাওয়া যেত। কিন্তু সেটা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
যেন ক্রিকেট নয় টাকার কাছেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছেন মুস্তাফিজ। মুস্তাফিজকে নিয়ে বিশাল সংবর্ধনা দেয়ায় আসলে দেশের কি লাভ?
টাকার স্বপ্ন পূরণ হলেই হারিয়ে যায় ক্রিকেট। সাকিব আল হাসান এখন দেশের জন্য ভালো খেলতে পারছেন না। মুস্তাফিজের চোখ ঠিকই টাকার দিকে রয়েছে।
তবে তাকে আরও একটু দেখতে হবে। দেশের কল্যানে না আসলে মূলত: কোনো ক্রিকেটারকে নিয়ে গর্ব করার কিছু নেই।
দেশের ক্যারিবীয়ান তারকা ক্রিস গেইলকে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গেছে বাজে ফর্মে। কিন্তু বিদেশি লিগে জ্বলে ওঠেন দানবের মত।
এই দৃশ্য দেখে তাকে ফের দলে ডাকা হয়। কিন্তু ব্যাট কথা বলে না। পরে তাকে বিদেশি লিগের জন্য ছেড়ে দেয় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।
বিদেশি লিগে খেলতে যাওয়ার ইস্যুতে বাংলাদেশেও তৈরি হতে পারে এই ধরনের ক্ষেত্র। মুস্তাফিজুর রহমান এখন পর্যন্ত সেনার ডিম পাড়া হাঁস হিসেবেই রয়েছেন।
ঠান্ডা বিকর্ত হলেও বিতর্কিত হননি তিনি। তবে স্রোতের হাওয়ায় তিনি কি বিলীন হবেন যে কোনা সময়।
মুস্তাফিজ মোহামেডানে চুক্তিবন্ধ। কিন্তু এখানে খেলার বিষয়ে একবারও কথা বলেননি তিনি। কিন্তু সাসেক্স নিয়ে ঠিকই মেতেছেন।
মুস্তাফিজ করুণার সুরে বলেছেন বিদেশি বড় টুর্ণামেন্টে খেলার অনেক ইচ্ছা আমার। আর এই বক্তব্যকেই গুরুত্ব দিচ্ছে সবাই